হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্ললাহ (সঃ)
ইরশাদ করেছেন, এক সময় আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম ।
স্বপ্নযোগে দেখতে পেলাম, লোকদেরকে আমার সম্মুখে
বিভিন্ন রকম জামা পরিধান করিয়ে উপস্থিত করা হচ্ছে ।
কারো জামা সিনা পর্যন্ত, কারো জামা আরো একটু নীচ
পর্যন্ত বির্স্তত । হযরত ওমর খাত্তাবকে আমার সম্মুখে
উপস্থাপন করা হয়েছে, তাঁর জামা এত লম্বা যে, তিনি তা
নীচ থেকে উপরের দিকে উঠিয়ে রাখছেন । এতদশ্রবণে
সাহাবীগণ আরজ করলেন, হুজুর ! আপনি এ স্বপ্নের
তাবীর কি করেছেন ? উত্তরে তিনি ইরশাদ করেন,
এ দ্বারা দ্বীন বুঝানো হয়েছে ( এতে বুঝা যায়, হযরত
ওমর (রাঃ) -এর দ্বীনী মর্যাদা অনেক বেশী ) ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (২২)
আল-কোরআন, আল-হাদীসের আলোচনা ।
আল-কোরআন, আল-হাদীসের আলোচনা ।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০
যাদের অন্তরে সরিষা পরিমাণ ঈমান থাকবে আল্লাহ কি বলবেন তাদেরকে ? ।
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) নবী করীম (সঃ) হতে
বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, হিসাব নিকাশের
পর বেহেশতীগণ বেহেশতে এবং দোজখীগণ দোজখে
প্রবেশ করবে । কিছুকাল পর আল্লাহ বলবেন, যাদের
অন্তরে সরিষা বরাবর ঈমান বিদ্যমান ছিল, তাদেরকেও
দোজখ থেকে বের কর । অতঃপর গুনাহগার বান্দাগণ
দোজখের শাস্তি ভোগ করে একেবারে কালো বর্ণ হয়ে
বের হয়ে আসবে । তারপর তাদেরকে বেহেশতে
প্রবেশের উপযুক্ত করার জন্য বৃষ্টির পানিতে অথবা
মালেকের বর্ণনা মতে "হায়াতের নদীতে" ঢেলে দেয়া
হবে । অতঃপর তারা এমনভাবে পরিপূষ্ট ও সৌন্দর্যমণ্ডিত
হয়ে উঠবে, যেমনিভাবে ঢলে পার্শ্বস্থিত জমিতে তরতাজা
সতেজ বীজ থেকে অন্করোদময় হয়ে থাকে । তোমরা
কি দেখেছ না সে চারা গাছগুলো কেমন সতেজ ও
সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে থাকে !
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (২১)
বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, হিসাব নিকাশের
পর বেহেশতীগণ বেহেশতে এবং দোজখীগণ দোজখে
প্রবেশ করবে । কিছুকাল পর আল্লাহ বলবেন, যাদের
অন্তরে সরিষা বরাবর ঈমান বিদ্যমান ছিল, তাদেরকেও
দোজখ থেকে বের কর । অতঃপর গুনাহগার বান্দাগণ
দোজখের শাস্তি ভোগ করে একেবারে কালো বর্ণ হয়ে
বের হয়ে আসবে । তারপর তাদেরকে বেহেশতে
প্রবেশের উপযুক্ত করার জন্য বৃষ্টির পানিতে অথবা
মালেকের বর্ণনা মতে "হায়াতের নদীতে" ঢেলে দেয়া
হবে । অতঃপর তারা এমনভাবে পরিপূষ্ট ও সৌন্দর্যমণ্ডিত
হয়ে উঠবে, যেমনিভাবে ঢলে পার্শ্বস্থিত জমিতে তরতাজা
সতেজ বীজ থেকে অন্করোদময় হয়ে থাকে । তোমরা
কি দেখেছ না সে চারা গাছগুলো কেমন সতেজ ও
সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে থাকে !
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (২১)
মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০
একদিন সাহাবীগণের যে কথায় রাসূল (সঃ) খুবই রাগান্বিত হয়েছিলেন ।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন
সাহাবীদেরকে কোন কাজের আদেশ করতেন,
তখন তাদেরকে এমন কাজের আদেশ করতেন
যা তাদের সাধ্যধীন হয় ।সাহাবীগণ বলতেন, হে
আল্লাহর রাসূল ! আমরা আপনার মত নই, যেহেতু
মহান আল্লাহ আপনার (আউআল আখের ) সব
গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন ( তাই আপনার তো
কোন আমলের প্রয়োজন নেই ) এ কথায় হুজুর (সঃ)
খুবই রাগান্বিত হতেন । এমন কি তাঁর মোবারকে
তার চিহ্ন প্রতিভাত হত । তারপর তিনি বলতেন,
আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা আল্লাহভীরু
এবং "আল্লাহ" সম্পর্কে বেশী পরিজ্ঞাত ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৯)
সাহাবীদেরকে কোন কাজের আদেশ করতেন,
তখন তাদেরকে এমন কাজের আদেশ করতেন
যা তাদের সাধ্যধীন হয় ।সাহাবীগণ বলতেন, হে
আল্লাহর রাসূল ! আমরা আপনার মত নই, যেহেতু
মহান আল্লাহ আপনার (আউআল আখের ) সব
গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন ( তাই আপনার তো
কোন আমলের প্রয়োজন নেই ) এ কথায় হুজুর (সঃ)
খুবই রাগান্বিত হতেন । এমন কি তাঁর মোবারকে
তার চিহ্ন প্রতিভাত হত । তারপর তিনি বলতেন,
আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা আল্লাহভীরু
এবং "আল্লাহ" সম্পর্কে বেশী পরিজ্ঞাত ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৯)
মুসলমানগন ফেতনা ফাসাদ থেকে বাঁচতে কি করবেন ? ।
আল্লাহর রাসূল (সঃ) এরশাদ করেন, সে সময় বড়ই
নিকটে, যে সময় মুসলমানগণ ফেতনা ফাসাদ
থেকে বাঁচার জন্য নিজের উত্তম সম্পদ বকরীগুলো
নিয়ে পাহাড়ের চুড়া অথবা উর্ধ্বে গিয়ে আত্মগোপন
করবে । অর্থাৎ নিজেকে ফেতনা ফাসাদ থেকে
দূরে রাখা ঈমানের আলামত ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৮)
নিকটে, যে সময় মুসলমানগণ ফেতনা ফাসাদ
থেকে বাঁচার জন্য নিজের উত্তম সম্পদ বকরীগুলো
নিয়ে পাহাড়ের চুড়া অথবা উর্ধ্বে গিয়ে আত্মগোপন
করবে । অর্থাৎ নিজেকে ফেতনা ফাসাদ থেকে
দূরে রাখা ঈমানের আলামত ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৮)
ঈমানের চিহ্ন ও মোনাফীকের চিহ্ন ।
হযরত নবী করীম (সঃ) ইরশাদ করেন,
মদীনার আনসারদের ভালোবাসা
ঈমানের চিহ্ন এবং আনসারদের সাথে
শত্রূতা পোষণ করা মোনাফীকের চিহ্ন ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৬)
মদীনার আনসারদের ভালোবাসা
ঈমানের চিহ্ন এবং আনসারদের সাথে
শত্রূতা পোষণ করা মোনাফীকের চিহ্ন ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৬)
রাসূল (সঃ) যে কথা গুলো শুনে হযরত ওবাদা বায়আত গ্রহণ করেন ।
হযরত ওবাদা বিন সামেত (রাঃ) -যিনি একজন বদরী সাহাবী,
তিনি আকাবার রাতের একজন নকীবও ছিলেন, তিনি বলেন,
ঐ রাতে হুজুর (সঃ) সাহাবীদেরকে (যারা তার আশেপাশে
বসা ছিলেন) লক্ষ্য করে বলেছেন, তোমরা আমার কাছে
এ কথার উপর বায়আত (অঙ্গীকার) গ্রহণ কর যে, তোমরা
আল্লাহর ইবাদতে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না,
চুরি করবে না, যেনা করবে না, তোমাদের সন্তান সন্ততিদের
হত্যা করবেনা, মিথ্যা অপবাদ রটাবে না, যা তোমরা কারো
উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে করে থাক । কোন ভালো কাজে
নাফরমানী করবে না । তোমাদের মধ্যে যারা এ ওয়াদাগুলো
পূরণ করবে তাদের প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে । কেউ
যদি ভুলবশত এরুপ কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আর
এ জন্য দুনিয়াতে তাকে কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করা হয়,
তা হলে উক্ত শাস্তি তার জন্য কাফ্ফারা গন্য হবে ।
আর যদি কেউ এরুপ কোন অপরাধ করার পর দুনিয়াতে
আল্লাহ পাক তা গোপন রাখেন, তবে তা আল্লাহর
উপর ন্যস্ত । আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করতে
পারেন, অন্যথায় শাস্তিও দিতে পারেন । হযরত ওবাদা
(রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা উপরোক্ত কথার উপর
তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করলাম ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৭)
তিনি আকাবার রাতের একজন নকীবও ছিলেন, তিনি বলেন,
ঐ রাতে হুজুর (সঃ) সাহাবীদেরকে (যারা তার আশেপাশে
বসা ছিলেন) লক্ষ্য করে বলেছেন, তোমরা আমার কাছে
এ কথার উপর বায়আত (অঙ্গীকার) গ্রহণ কর যে, তোমরা
আল্লাহর ইবাদতে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না,
চুরি করবে না, যেনা করবে না, তোমাদের সন্তান সন্ততিদের
হত্যা করবেনা, মিথ্যা অপবাদ রটাবে না, যা তোমরা কারো
উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে করে থাক । কোন ভালো কাজে
নাফরমানী করবে না । তোমাদের মধ্যে যারা এ ওয়াদাগুলো
পূরণ করবে তাদের প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে । কেউ
যদি ভুলবশত এরুপ কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আর
এ জন্য দুনিয়াতে তাকে কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করা হয়,
তা হলে উক্ত শাস্তি তার জন্য কাফ্ফারা গন্য হবে ।
আর যদি কেউ এরুপ কোন অপরাধ করার পর দুনিয়াতে
আল্লাহ পাক তা গোপন রাখেন, তবে তা আল্লাহর
উপর ন্যস্ত । আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করতে
পারেন, অন্যথায় শাস্তিও দিতে পারেন । হযরত ওবাদা
(রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা উপরোক্ত কথার উপর
তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করলাম ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৭)
রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০
ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে ৩টি চরিত্র.........
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা:) নবী করীম (সঃ)
থেকে রেওয়ায়াত করেন, তিনি বলেছেন, ঐ ব্যক্তি
ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম, যার মধ্যে
এ তিনটি চরিত্র বিদ্যমান-(১) যার কাছে অপরাপর
সমুদয় বস্তু হতে স্বয়ং আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ)
বেশী প্রিয়, (২) যে কাউকে ভালোবাসে তো
আল্লাহর ওয়াস্তে ভালোবাসে, (৩) ঈমান গ্রহণের
পর পূনরায় কুফুুরীর দিকে ফিরে যাওয়া এমনভাবে
অপছন্দ করে, যেমন সে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত
হওয়া অপছন্দ করে ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৫)
থেকে রেওয়ায়াত করেন, তিনি বলেছেন, ঐ ব্যক্তি
ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম, যার মধ্যে
এ তিনটি চরিত্র বিদ্যমান-(১) যার কাছে অপরাপর
সমুদয় বস্তু হতে স্বয়ং আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ)
বেশী প্রিয়, (২) যে কাউকে ভালোবাসে তো
আল্লাহর ওয়াস্তে ভালোবাসে, (৩) ঈমান গ্রহণের
পর পূনরায় কুফুুরীর দিকে ফিরে যাওয়া এমনভাবে
অপছন্দ করে, যেমন সে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত
হওয়া অপছন্দ করে ।
সহীহ বোখারী শরীফ
হাদীস নং (১৫)
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
বাংলা ওয়াজ, আল-কোরআনের আলোচনা, ওয়াজ,
হযরত ওমর (রাঃ) -এর দ্বীনী মর্যাদা নিয়ে রাসূল (সঃ) একি বললেন ? ।
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্ললাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, এক সময় আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম । স্বপ্নযোগে দেখতে পেলাম, লোকদেরকে আমার সম্মু...
আল-কোরআন, আল-হাদীস,
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) নবী করীম (সঃ) থেকে বর্ণনা করেন, প্রকৃত মুসলমান সে ব্যক্তি, যিনি অপর মুসলমানকে স্বীয় জবান এবং হাতের অন্যায় থেক...
-
আবূ সুফিয়ান বলেন, সর্বপ্রথম তিনি আমাকে যে যে প্রশ্ন করেন তা হল : হেরাকল : আপনাদের মধ্যে ঐ লোকটির জন্ম কিরুপ বংশে ? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম,...
-
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) নবী করীম (সঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, হিসাব নিকাশের পর বেহেশতীগণ বেহেশতে এবং দোজখীগণ দোজখে প্রবেশ ...
-
হযরত আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম একদা হুজুর (সঃ) - প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ) ! ইসলামের কোন চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম? ...
-
হযরত রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্টিত, আর তা হল - (১) আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর...
-
হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একদা মসজিদে নববীর মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) -কে ইরশাদ করতে শুনেছি : তিনি বলে...
-
আর এ কথাও যে, তিনিই প্রথম আদ জাতীকে ধবংস করেছেন এবং সামুদকে এমন ভাবে নিশ্চিহ্ন করেছেন যে কাউকে অবশিষ্ট রাখেননি। তাদের পূর্বে তিনি নূহের কওমক...
-
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা:) নবী করীম (সঃ) থেকে রেওয়ায়াত করেন, তিনি বলেছেন, ঐ ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম, যার মধ্যে এ তিনটি চরি...
-
তিনিই ছয়দিনে আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবী এবং তাদের মাজখানে যা কিছু আছে সব তৈরী করে রেখে দিয়েছেন তারপর তিনিই (বিশ্ব জাহানের সিংহাসন) আরশে সমীচীন হয়...
-
রহমানের আসল বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে বলে দেয় তোমাদের সালাম।তারা নিজেদের রবে...