বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

ইসলামের বুনিয়াদ

হযরত রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করেন, ইসলাম
পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্টিত, আর তা হল -
(১) আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।
(২) নামাজ প্রতিষ্ঠা করা।
(৩) যাকাত প্রদান করা।
(৪) হজ্জ আদায় করা।
(৫) রমজানের রোজা রাখা।

সহীহ বোখারী শরীফ : হাদীস নং(০৭)





সম্রাটের পক্ষ হতে রোমীয়দের কাছে ইসলামের দাওয়াত

অতঃপর সম্রাট হেমসের রোমান সর্দারদের স্বীয় মহলে ডাকলেন। খাদেমদেরকে আদেশ করা হল যেন মহলের সকল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর সম্রাট লোকদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে লক্ষ করে বললেন, হে রোমীয়গন !
যদি তোমরা নিজেদের মঙ্গল কামনা ও সঠিক পথ অনুসন্ধান কর এবং তোমাদের রাজত্ব বহাল থাকুক এরূপ প্রত্যাশা কর, তা হলে আরবের নবীর হাতে বায়আত গ্রহণ কর। সম্রাটের এ কথা বলা শেষ হতে না হতেই লোকজন জংলী গাধার ন্যায় ছুটাছুটি আরম্ভ করে দিল। কিন্তু তারা দেখতে পেল, শাহী মহলের সকল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই তারা বের হতে পারল না। সম্রাট যখন তাদের অপছন্দীয় মনোভাব দেখতে পেলেন এবং তাদের ঈমান থেকে নিরাশ হলেন, তখন খাদেমদেরকে বললেন, তাদেরকে পুনরায় আমার কাছে ডেকে আন। অতঃপর সম্রাট তাদেরকে খুশি করার জন্য বললেন, এতক্ষণ আমি তোমাদের কাছে যে কথা বলেছিলাম, এতে আমি তোমাদের ঈমান আকীদা, ধর্মীয় অনুভূতি এবং ধর্মের প্রতি তোমাদের আসক্তি পরীক্ষা করেছি। সূতরাং আমি ধারণা করে নিলাম, তোমরা নিজেদের ধর্মের উপর অটল রয়েছ। এ কথা শুনে সবাই সন্তূষ্ট হয়ে সম্রাটকে সেজদা করে আনুগত্য প্রকাশ করে। এ ছিল সম্রাট হেরাকলের সর্বশেষ অবস্থা।

   সহীহ বোখারী শরীফ : হাদীস নং ( ০৬)












রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯

রোম সম্রাট হেরাকল ও আবু সূফিয়ানের মধ্যকার কথোপকথন

আবূ সুফিয়ান বলেন, সর্বপ্রথম তিনি আমাকে যে  যে প্রশ্ন করেন তা হল : হেরাকল : আপনাদের মধ্যে ঐ লোকটির জন্ম কিরুপ বংশে ? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, তিনি আমাদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহন করেছেন । হেরাকল : আপনাদের মধ্যে তাঁর পূর্বে অন্য কেউ এরুপ নবূওয়তের দাবী করেছেন কি না? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, না (ইতিপূর্বে আর কেউ নবুওয়তের দাবী করেনি)। হেরাকল : তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা -বাদশাহ ছিলেন কি না? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম না । হেরাকল : তাঁর অনুসারীদের মধ্যে ধনাঢ়্য ব্যক্তিগণ বেশি না গরীব জনসাধারণ? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম : গরীব জনসাধারণ ।
হেরাকল : তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে না কমছে?  আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে । হেরাকল : কেউ তাঁর ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর এ ধর্মের দোষত্রুটি দেখে পরিত্যাগ করে কি না? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম না। হেরাকল : এ লোকটি বতর্মানে যা বলছে, আপনারা কি তার পূর্বে কখনো তার প্রতি মিথ্যাবাদিতার অভিযোগ করেছেন? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম না। হেরাকল : তিনি কি ইতিপূর্বে কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, না। তবে সম্প্রতি আমরা তাঁর সাথে একটি সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি। জানি না তিনি এ ব্যাপারে কি করেন। আবূ সুফিয়ান বলেন, এ প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে এর বেশি বলার সাহস আমার ছিল না। হেরাকল : আপনারা কি তাঁর সাথে কোন যুদ্ধ করেছেন?  আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, হ্যাঁ। হেরাকল : তাঁর সাথে আপনাদের যুদ্ধের ফলাফল কি হয়েছে? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, যুদ্ধের ফলাফল আমাদের মধ্যে ঘূর্ণায়মান, কখনো তিনি বিজয়ী হয়েছেন আবার কখনো আমরা বিজয়ী হয়েছি। হেরাকল : তিনি আপনাদের কি কি কাজের আদেশ করে থাকেন? আবূ সুফিয়ান : আমি বললাম, তিনি আমাদের আদেশ করেন এক আল্লাহর ইবাদত কর, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না, তোমাদের পূর্বপুরুষদের কুসংস্কার ছেড়ে দাও। তিনি আমাদের আরো আদেশ করে থাকেন, নামাজ কায়েম কর, সত্যবাদী হও, অন্যায় থেকে বিরত থাকো, আত্মীয়তার হক আদায় কর ইত্যাদি । অতঃপর সম্রাট তার প্রতিটি প্রশ্নের উপর মন্তব্য করতে গিয়ে দোভাষীকে বললেন, আপনি আবূ সুফিয়ানকে বলুন - আমি আপনাকে নবুওয়তের দাবীদার ব্যক্তির বংশ মর্যাদা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তরে আপনি বলেছেন, তিনি আপনাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূলগণ এমনিভাবে সম্ভ্রান্ত বংশেই জন্মগ্রহন করে থাকেন। হেরাকল : আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনাদের মধ্যে ইতিপূর্বে আর কেউ এরুপ কথা বলেছে কিনা? আপনি বলেছেন, না। সুতরাং আমি বলছি, যদি ইতিপূর্বে কেউ এ ধরনের কথা বলত, তা হলে আমি বলতাম, তিনি তার পূর্বসূরি ব্যক্তির কথাই বলছেন। হেরাকল : আমি আপনাকে আরো প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা বাদশাহ ছিলেন কি- না? উত্তরে আপনি না বলেছেন। যদি তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা বাদশাহ থাকত, তা -হলে আমি বলতাম, তিনি এমন এক ব্যক্তি, যিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে রাজত্ব তালাশ করছেন। হেরাকল : আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, বতর্মানে তিনি যা বলছেন ইতিপূর্বে আপনারা কি কখনো তাঁর উপর মিথ্যাবাদীতার অভিযোগ করেছেন? আপনি উত্তর দিয়েছেন, "না" তাই আমি বিশ্বাস করি, তিনি যখন মানুষের মধ্যে মিথ্যাচারিতার অভিযোগ থেকে মুক্ত, তখন আল্লাহ সম্পর্কে কখনো মিথ্যা বলতে পারেন না। হেরাকল : আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সম্মানিত ধনাঢ্য ব্যক্তিগন না গরীব জনসাধারণ তাঁর অনুসারী হয়ে থাকেন? আপনি উত্তরে বলেছেন, গরীব জনসাধারণই বেশি বেশি তাঁর অনুসারী হয়ে থাকেন। মূলত : গরীব জনসাধারণই নবী রাসূলগনের বেশি অনুসারী হয়ে থাকেন। হেরাকল : আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে না কমছে। আপনি উত্তরে বলেছেন, দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। নিশ্চয়ই ঈমানের কাজ পরিপূর্ণ হওয়া পযর্ন্ত এরূপই হয়ে থাকে। হেরাকল : আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর ধর্মে দিক্ষিত হওয়ার পর নাখোশ হয়ে কেউ ধর্মান্তরিত হয়েছে কি না? উত্তরে আপনি বলেছেন "না"। প্রকৃতপক্ষে ঈমান এরুপই হয়ে থাকে (যখন অন্তরের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় )। হেরাকল : আমি আপনাকে তার সম্পর্কে  জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি কখনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন কি-না? আপনি বলেছেন "না"। প্রকৃতপক্ষে রাসূলগণ এরূপই হয়ে থাকেন। তাঁরা কখনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। হেরাকল : আমি আপনাকে আরো প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি আপনাদেরকে কিরূপ কাজের আদেশ করে থাকেন। উত্তরে আপনি বলেছেন, তিনি আপনাদেরকে আদেশ করে থাকেন, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না। তিনি মূতিপূজা করতে নিষেধ করেন। তিনি আপনাদের আরো আদেশ করেছেন নামাজ কায়েম, সত্যবাদিতা অবলম্বন এবং সকল অন্যায় থেকে বিরত থাকার জন্য। আপনি যা বললেন, যদি তা সত্য হয়ে থাকে তা হলে আমি বলছি, তিনি অচিরেই আমার পদতলের এ স্থানেরও মালিক হবেন। আমি অবশ্য জানতাম, তিনি অচিরেই আবির্ভূত হবেন। তবে আমার এরূপ ধারণা ছিল না যে, আমি যদি জানতাম, আমি তাঁর কাছে পৌছতে সক্ষম হব, তা হলে অবশ্যই তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করার চেষ্টা করতাম। আর যদি আমি তাঁর সাক্ষাতে ধন্য হতাম তা হলে তাঁর পদযুগল ধৌত করে দিতাম। অতঃপর সম্রাট হেরাকল রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর দেয়া পত্রখানা আনালেন, যা তিনি হযরত দাহইয়া কলবী (রাঃ) -এর মাধ্যমে বসরার শাসনকর্তার নিকট প্রেরণ করেছিলেন। অতঃপর বসরার শাসনকর্তা উক্ত পত্রখানা সম্রাট হেরাকলের কাছে প্রদান করেন। সম্রাট উক্ত পত্রখানা পাঠ করেন।
রাসূল (সঃ) -এর পত্রের বঙ্গানুবাদ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। পরম দাতা দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। এ পত্র আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল মুহাম্মদ (সঃ) -এর পক্ষ হতে রোম সম্রাট হেরাকল -এর প্রতি - যে হেদায়েতের অনুসরণ করবে তার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি আপনাকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যদি ইসলাম গ্রহণ করেন তা হলে নিরাপদে থাকবেন। এর পুরস্কার স্বরুপ আল্লাহ আপনাকে দ্বীগূন প্রতিদান দিবেন। আর যদি আপনি ইসলাম হতে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেন, ত হলে প্রজাদের সকলের অপরাধও আপনার উপর অর্পিত হবে। অর্থাৎ, আপনি সকলের পাপের ভাগী হবেন।
পত্রে আরো লেখা ছিল : হে আহলে কিতাব ! তোমরা সব কিছু ছেড়ে এমন এক কালেমার দিকে ত্ত্বরা করে আস যা তোমাদের ও আমাদের মাঝে সমান।
"আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পূজা করো না। তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক করো না। আর এক আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ পরস্পর পরস্পরকে প্রভূ বলে গ্রহণ করবে না। যদি তোমরা এটা গ্রহণ না কর, তা হলে তোমরা তাদেরকে বলে দাও, তোমরা এ কথার উপর সাক্ষী থেকো যে, আমরা আল্লাহর অনুগত ।"
পত্র পাঠের প্রতিক্রিয়া : আবূ সুফিয়ান বলেন, সম্রাট হেরাকল তখন যা বলার বললেন এবং পত্র পাঠ থেকে অবসর হলেন। তখন উপস্থিত সভাসদবৃন্দের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেল। লোকদের কথাবার্তার আওয়াজ বড় হয়ে গেল। আমাদেরকে তখন তার মজলিস হতে বের করে দেয়া হল।বের করে দেয়ার পর আমি আমার সাথীদেরকে বললাম, "আবূ কাবশার " ঘটনা তো অনেক বেড়ে গেছে। স্বয়ং রোম সম্রাট পর্যন্ত তাকে ভয় করছেন (আবূ কাবশা হযরত হালিমা সাদিয়ার স্বামীর উপনাম। এস্থলে হুজুর (সঃ) -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে )। আবূ সুফিয়ান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার অন্তরে এরূপ বিশ্বাস জন্মেছিল যে, অবশ্যই রাসূল (সঃ) বিজয়ী হবেন। এমন কি আল্লাহ তা'আলা আমার অন্তরে ইসলামের মহাব্বত ঢুকিয়ে দিলেন।
সম্রাটের স্বপ্ন : ইবনে নাতুর - যিনি বায়তুল মাকদাসের শাসনকর্তা ছিলেন, সম্রাট হেরাকল -এর বন্ধুও বটে, তিনি মুলকে শামে নাসারাদের সর্দারও ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেন, এক সময় সম্রাট হেরাকল যখন 'ইলিয়া' (বায়তুল মাকদাস ) আগমন করলেন, তখন একদিন প্রত্যূষে তিনি খুবই তীক্ষ্ণ মেজাজ এবং পেরেশান অবস্থায় উঠলেন। এক সাথী তাঁকে বললেন, হে সম্রাট ! আজ আমরা আপনাকে খুব পেরেশান অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি, কারণ কি?
ইবনে নাতুর বলেন, সম্রাট হেরাকল একজন গনকও ছিলেন। তারকাসমূহের দিকে তিনি সর্বদা দৃষ্টি রাখতেন। উত্তরে সম্রাট বললেন, আমি আজ রাতে যখন তারকাসমূহের দিকে তাকালাম তখন দেখতে পেলাম, খাতনাকারীদের বাদশাহ জয়যুক্ত হয়েছেন। তোমরা বল তো, এ যমানায় কারা খাতনা করে থাকে? উত্তরে তার সাথীগন বললেন, বতর্মান যমানায় ইহুদিগনই তো খতনা করে থাকে। সূতরাং তাদের ব্যাপারে পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। বরং আপনি আপনার এলাকার সকল শহরে এ ফরমান পাঠিয়ে দিন যেখানে খতনাকারী ইহুদিরা বসবাস করছে, লোকেরা যেন তাদের সবাইকে হত্যা করে। যখন সম্রাট অমাত্যদের সাথে এরূপ আলাপ আলোচনায় রত ছিলেন, ঠিক এ সময় এক ব্যক্তিকে সম্রাট হেরাকলের কাছে নিয়ে আসা হল, যাকে গাসসানের শাসনকর্তা সম্রাটের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি রাসূল (সঃ) -এর অবস্থা ও খবরাখবর বর্ণনা করতেন। সম্রাট যখন তার খবরাখবর নিলেন, তখন তিনি আদেশ করলেন, তাকে গোপন জায়গায় নিয়ে যাও এবং দেখ তার খতনা হয়েছে কি-না? অতঃপর লোকেরা তাকে পরীক্ষা নিরিক্ষা -করার পর বলল, হ্যাঁ তার খতনা করা হয়েছে। তারপর তাকে আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বলল, আরবরা খতনা করে থাকে। তখন সম্রাট হেরাকল বললেন, ঐ ব্যক্তিই হল এ
দলের বাদশাহ, যিনি বতর্মানে আর্বিভূত হয়েছেন। অতঃপর সম্রাট হেরাকল এ ঘটনা তার এক বন্ধুর কাছে লিখে পাঠান, যিনি জ্ঞান -বিজ্ঞানে তার সমকক্ষ ছিলেন। তারপর সম্রাট 'হেমসে ' চলে গেলেন। হেমসে থাকা অবস্থায় তার বন্ধুর পক্ষ হতে পত্রের জবাব এসে পৌঁছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর আর্বিভাব সম্পর্কে সম্রাট হেরাকলের যে ধারনা ছিল, তার বন্ধুর অভিমতেও তদ্রূপই ব্যক্ত করা হল যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে নবী হিসেবেই প্রেরিত হয়েছেন।

সহীহ বোখারী শরীফ,  ১ম খণ্ড হাদীস নং (0৬)

























































































































































































































































































































শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯

রাসূলুল্লাহ (সঃ) কোন মাসে বেশি বেশি দান করতেন

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সর্বকালের সর্বযুগের সমস্ত লোকের থেকে বেশি দানশীল ছিলেন। বিশেষত  তাঁর দানশীলতা অন্যান্য সময় হতে পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি পরিলক্ষিত হত, যখন হযরত  জিব্রাঈল (আঃ) তাঁর সাক্ষাতে আসতেন। পবিত্র রমজানের প্রতি রাতেই তিনি হুযূর (সঃ) -এর সাক্ষাতে উপস্থিত হতেন এবং তাঁকে পবিত্র কোরআন পাঠ করে শুনাতেন। এ কারণেই রাসূল (সঃ) মাহে রমজানে দানশীলতায় প্রবাহিত বায়ুর চেয়েও বেশি বেশি গতিশীল হতেন (অর্থাৎ বেশি বেশি দান করতেন)।

সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নং=( 05)






















রোমান সম্রাট হেরাকলকে কখন ডেকে পাঠান

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিত, আবূ সুফিয়ান ইবনে হরব তাঁর কাছে বর্ণনা করেছেন, রোমান সম্রাট হেরাকল তাঁকে ঐ সময় ডেকে পাঠান, যখন তিনি কোরায়শ ব্যবসায়ীদের দলপতি হিসেবে ব্যবসার উদ্দেশে শাম দেশে গিয়েছিলেন। এ ঘটনা তখন সংগঠিত হয়েছিল, যখন রাসূলুল্লাহ(সঃ) -এর সাথে হোদাইবিয়ার সন্ধির পর কিছু সময় হেরাকল "ইলিয়া" বতর্মান (বাইতুল মাকদাসে) উপস্থিত ছিলেন। বাদশাহ যখন তাদেরকে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার জন্য বললেন, তখন তাঁর চার পাশে রোমের নেতৃবর্গ উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি তাদেরকে ডেকে পাঠান এবং দোভাষীকেও ডাকান। অতঃপর বাদশাহ তাদেরকে অর্থাৎ আবূ সুফিয়ান এবং তাঁর দলের লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, আরব দেশের ঐ ব্যক্তি -যিনি বতর্মানে নবুওয়তের দাবী করছেন, আপনাদের মধ্যে কেউ তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছেন কি? আবূ সুফিয়ান বললেন, "হ্যাঁ, আমি তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।" তখন হেরাকল তাঁর সভাসদকে বললেন : তাঁকে ও তাঁর সাথীদেরকে আমার নিকটে নিয়ে আসুন। অতঃপর আবূ সুফিয়ানের সাথীদেরকে তার পেছনে বসার ব্যবস্থা করে দেয়া হল। তারপর সম্রাট তাঁর দোভাষীকে নির্দেশ দিলেন, আপনি তাদেরকে বলুন, আমি আবূ সুফিয়ানকে নবুওয়তের দাবিদার ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করব, যদি তিনি সে সম্পর্কে মিথ্যা কিছু বলেন, সঙ্গীরা যেন তার মিথ্যাটুকু আমাকে ধরিয়ে দেন। অতঃপর আবূ সুফিয়ান (মুসলমান অবস্থায় ) বলেন, আল্লাহর শপথ ! সঙ্গীগন কর্তক মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হওয়ার লজ্জা আমাকে বাধা প্রমাণ না করলে আমি রোম সম্রাটের নিকট তখন মুহাম্মদ (সঃ) -এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মিথ্যা বলতাম।
             সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নং=(06)




















































































মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯

প্রথম প্রথম যখন অহী অবতীর্ণ হত,তখন রাসূল(সঃ)কি করতেন?

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, প্রথম প্রথম যখন অহী অবতীর্ণ হত, তখন রাসূল (সঃ) তা স্মরণ রাখার জন্য অনেক কষ্ট করতেন । জিব্রাঈল (আঃ) অহী পড়ে শুনাবার সময় হুজুর (সঃ) ওষ্টদ্বয় নাড়াতে শুরু করতেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ হাদীস বর্ণনাকালে লোকদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, রাসূল (সঃ) যেমনিভাবে ওষ্ঠদ্বয় নাড়াচাড়া করতেন, আমিও তোমাদেরকে তেমনিভাবে ওষ্টদ্বয় নাড়িয়ে দেখাচ্ছি। আর সাঈদ বিন জোবায়ের (রঃ) বলেন, আমি আমার ওষ্টদ্বয় এমনিভাবে নাড়াচ্ছি যেরূপভাবে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) নাড়াতেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ করলেন  " লা-তুহাররিক বিহী লিসানাকা লিতা'জালা বিহী। ইন্না আ'লাইনা জামাআ 'হু ওয়া কোরআনাহু  "।  অর্থ : আপনি তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উদ্দেশ্যে আপনার ওষ্টদ্বয় নাড়াবেন না : পবিত্র কোরআন আপনার অন্তরে সংরক্ষণ ও পাঠ করানো স্বয়ং আমারই দায়িত্ব ।সুতরাং যখন পবিত্র কোরআন আপনার কাছে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) পাঠ করেন তখন আপনি কেবল ধৈর্য সহকারে নিশ্চুপে শ্রবণ করুণ । তারপর তা বর্ণনা করাবার এবং পাঠ করাবার দায়িত্ব । এর পর থেকে যখনই হযরত জিব্রাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর নিকট অহী নিয়ে আসতেন, তিনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতেন । তারপর জিব্রাঈল (আঃ) যখন চলে যেতেন তখন তিনি তা এমনভাবে পাঠ করতেন যেভাবে জিব্রাঈল (আঃ) পাঠ করেছিলেন ।

সহীহ বোখারী শরীফ : হাদীস নং : (04)

























































সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

নবী করীম (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ প্রথম অহী

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (সঃ)- এর নিকট অহী আগমনের সূচনা হয় ঘুমের মধ্যে স্বপ্নাকারে। স্বপ্নে তিনি যা দেখতেন তা-ই দিবালোকের ন্যায় তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে যেত । কিছুকাল এ অবস্থা চলার পর আপনা থেকেই তাঁর অন্তরে লোকালয় হতে সংস্রবহীন নির্জনে থাকার প্রেরণা উদিত হয়। তিনি মক্কা নগরী হতে তিন মাইল দূরে হেরা নামক পর্বত গুহায় নির্জনে (ইবাদতের উদ্দেশ্যে ) বাস করতে লাগলেন। তিনি পানাহারের জন্য প্রত্যহ বাড়ি এসে সামান্য কিছু নিয়ে যেতেন এবং তথায় একাদিক্রমে অনেক রাত ইবাদত বন্দেগীতে নিয়োজিত থাকতেন। কিছুদিন পর পর খাদীজার সাথে সাক্ষাতের জন্য বাড়ি আসতেন। পুনরায় কিছু পানাহার সামগ্রী নিয়ে একাধারে ইবাদত বন্দেগীতে রত হওয়ার জন্য হেরা গুহায় চলে যেতেন। এভাবে হেরা গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকাকালে হঠাৎ একদিন তাঁর নিকট সত্য আত্মপ্রকাশ করে। অর্থাৎ মহান আল্লাহর পক্ষ হতে ফেরেশতা জিব্রাঈল (আঃ) অহী নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সঃ) এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন ( "ইকরা") ( হে নবী ) আপনি পড়ুন।" উত্তরে তিনি বললেন, আমি তো পড়তে জানি না। হুজুর (সঃ) বলেন এতদশ্রবণে জিব্রাইল (আঃ) আমাকে ধরে এমন জোরে আলিঙ্গন করলেন যাতে আমার কষ্ট অনুভব হল। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় বললেন  ( "ইকরা") "আপনি পড়ুন !" উত্তরে আমি বললাম, আমি তো পড়তে জানি না। এতদশ্রবণে উক্ত ফেরেশতা পুনরায় আমাকে আলিঙ্গন করলেন। এবারও আমার কষ্ট অনুভব হতে লাগল তারপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, "আপনি পড়ুন "। উত্তরে আমি পূর্বের ন্যায় বললাম, আমি তো কখনো পড়ার অভ্যাস করিনি। এতদশ্রবণে হযরত জিব্রাঈল ( আঃ) তৃতীয় বার আমাকে আলিঙ্গন করে ছেড়ে দিয়ে বললেন - ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজী খালাক । খালাক্কাল ইনসানা মিন্ আলাক্ক । ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরাম "। অর্থ : পড়ুন আপনার প্রভুর নামে, যিনি আপনার সৃষ্টিকর্তা, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিণ্ড হতে । পড়ুন আপনার প্রভু অতি মহান । এ ঘটনার পর রাসূলুল্লাহ (সঃ) উক্ত আয়াতসমুহ পাঠ করতে করতে বাড়ি ফিরলেন । ভয়ে তাঁর হৃদয় থর থর করে কাঁপতে লাগল । তিনি সহধর্মিনী খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ -এর কাছে এসে বললেন "আমাকে কম্বল জড়িয়ে দাও! আমাকে কম্বল জড়িয়ে দাও ।" অতঃপর খাদীজা তাঁকে কম্বল জড়িয়ে দেন । কিছুক্ষণ পর তাঁর এ ভাব কেটে গেলে তিনি খাদীজাকে সব বৃত্তান্ত খুলে বললেন । তিনি বুঝতে পারলেন, তাঁর উপর বিরাট দায়িত্ব অপৃত হতে যাচ্ছে । তাই তিনি খাদীজাকে বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি মনে মনে ভয় করছি, এ বিরাট দায়িত্ব আমি আদায় করতে পারব কি -না ? তখন তীক্ষ্ণ  বুদ্ধিসম্পন্না খাদীজা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম ! কিছুতেই নয়, মহান আল্লাহ আপনাকে কখনো অপদস্থ করবেন না । আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন । কেননা মানবতার চরম উৎকর্ষের মূল সব গুনই আপনার মধ্যে বিদ্যমান আছে । আপনি আত্মীয় -স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, আত্মীয়তার হক আদায় করেন । এতীম, বিধবা, অন্ধ, খঞ্জ তথা অক্ষমদের খাওয়া পরা ও থাকার বন্দোবস্ত করে থাকেন । বেকারদের কর্মসংস্থান করেন । অতিথি সৎকার করে থাকেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে দূস্থ জনগণের সাহায্য জীবন উৎসর্গে প্রস্তূত থাকেন (সুতরাং এ অবস্থায় আপনার ভয়ের কোনো কারণ নেই )। এরুপ সান্ত্বনা দেয়ার পর খাদীজা (রাঃ) হুজুর (সঃ) -কে সাথে করে বংশের মুরব্বী স্বীয় চাচাতো ভাই ওয়ারাকা বিন নওফেল বিন আসাদ বিন আবদুল ওজ্জার নিকট নিয়ে গেলেন । যিনি জাহেলিয়াত যুগে নাসরানী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তিনি ইবরানী ভাষায় কিতাব লিখতেন, সুতরাং সুরইয়ানী ভাষার ইঞ্জিল কিতাব হতে তিনি ইবরানী ভাষায় আল্লাহর ইচ্ছায় সামর্থনুযায়ী অনেক কিছু লিখেছেন (এক কথায় তিনি আসমানী কিতাবে পারদর্শী ছিলেন )। তিনি সে সময় খুব বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে চাচাতো ভাই! আপনি আপনার ভাতিজার কথা শুনুন । তখন ওয়ারাকা বিন নওফেল হুজুর (সঃ) -কে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা ! আপনি কি দেখতে পেয়েছেন বলুন ! রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে সব ঘটনা খুলে বললেন, যা তিনি দেখতে পেয়েছিলেন । ঘটনা শুনার পর ওয়ারাকা বিন নওফেল হুজুর (সঃ) -কে বললেন, "ইনি তো সেই মঙ্গলময় বার্তাবাহক জিব্রাইল ফেরেশতা । যাকে আল্লাহ হযরত মূসা (আঃ) -এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন । আফসোস ! আপনার নবুওয়তের প্রচারকালে যদি আমি শক্তিশালী যুবক হতাম, যদি আমি সেদিন জীবিত থাকতাম যেদিন আপনার সম্প্রদায় আপনাকে দেশান্তরিত করে ছাড়বে । এ কথা শুনে হুজুর (সঃ) আশ্চর্যান্বিত হয়ে বললেন, আমার দেশবাসী কি আমাকে  বিতাড়িত করবে ? উত্তরে ওয়ারাকা বললেন, হ্যাঁ আপনি যে সত্য ধর্ম নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন, আপনার ন্যায় যারা পূর্বে এরুপ সত্য ধর্ম নিয়ে প্রেরিত হয়েছিলেন, জগদ্বাসী তাদের সাথে শত্রুতা না করে ছাড়েনি । আমি আপনার সাথে কথা দিলাম, যদি আমি সেদিন জীবিত থাকি, তা হলে অবশ্যই প্রাণপণে আপনার সাহায্য করব । এ ঘটনার অল্প দিন পরই 'ওয়ারাকা' ইন্তেকাল করেন  । এর পর প্রায় তিন বছর যাবত অহী বন্ধ ছিল । অহী বন্ধ থাকাকালীন অবস্থার বর্ণনা প্রসঙ্গে জাবের বিন আব্দুলাহ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সঃ) এ প্রসঙ্গে ফরমান একদা আমি চলার সময় আসমানের দিক থেকে বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে উপর দিকে নজর করে দেখতে পেলাম, যে ফেরেশতা হেরা পর্বত গুহায় আমার কাছে এসেছিলেন, সে ফেরেশতাই আসমান যমীনের মধ্যখানে একটি চেয়ারে উপবিষ্ট আছেন । তাঁর এ অবস্থা দেখে আমি ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম । ভয়ার্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে আমি বললাম, তোমরা আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও, গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও । এ অবস্থায় আমার উপর পবিত্র কোরআনের সূরা মুদাসসের হতে  5 টি আয়াত অবতীর্ণ হয় ।

আয়াত নং 1- 5,  যার অর্থ =  হে বসরাবৃত ! উঠুন, আপনি লোকদেরকে সতর্ক করে দিন । আপনার প্রভূর মহিমা প্রচার করুন । আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন ।

সহীহ বোখারী শরীফ, প্রথম খণ্ড : হাদীস নং : 3













































































































-কে














































































শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

রাসূললুল্লাহ (সঃ) নিকট অহী কিভাবে আসে?

হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হারেস ইবনে হেসাম (রাঃ) একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) -কে জিজ্ঞেস  করলেন, আপনার নিকট অহী কিভাবে আসে? উত্তরে তিনি বললেন, কোন কোন সময় এমন হয় যে, তা ঘণ্টা ধনীর ন্যায় আসে। এ প্রকারের অহী আমার নিকট বড়ই কষ্টদায়ক মনে হয়। উক্ত কষ্টজনিত শ্রান্তি লাঘব হওয়ার পর আমি তা হৃদয়ঙ্গম করি। আবার কোন কোন সময় ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আমার কাছে আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে থাকেন, আমি তাৎক্ষণিক তা হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হই। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, "অতি প্রচণ্ড শীতের সময়ও অহী নাযিলকালে আমি হুজুর (সঃ) -কে দেখেছি, তিনি এমন ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তেন যে, তাঁর ললাট মোবারক থেমে ঘাম বের হত ।"

সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নং=(02)







































রাসূলুল্লাহ (সঃ) মসজিদ নববীর মিম্বরে দাঁড়িয়ে কি বললেন?

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একদা মসজিদে নববীর মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) -কে ইরশাদ করতে শুনেছি : তিনি বলেছেন, মানুষের সমুদয় কাজ নিশ্চিতভাবে তার নিয়ত অনুসারেই হয়ে থাকে । আর মানুষ যা নিয়ত করে তার তাই হাসিল হয় । সুতরাং যার হিযরত দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য হয় তা সে পেয়ে থাকে । আর যদি কোনো মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হিজরত করা হয়, তা হলেও তার হিজরত সে অনুসারেই হয়ে থাকে।

সহীহ বোখারী শরীফ : হাদীস নং : (01)





























বাংলা ওয়াজ, আল-কোরআনের আলোচনা, ওয়াজ,

হযরত ওমর (রাঃ) -এর দ্বীনী মর্যাদা নিয়ে রাসূল (সঃ) একি বললেন ? ।

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্ললাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, এক সময় আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম । স্বপ্নযোগে দেখতে পেলাম, লোকদেরকে আমার সম্মু...

আল-কোরআন, আল-হাদীস,